ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৩/০৫/২০২৪ ২:১৫ পিএম

চুরি করা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও ডলার বিক্রির টাকা নিয়ে কক্সবাজারে প্রমোদ ভ্রমণে যান আট বন্ধু। মিলে নগদ টাকা চুরি করেন এক যুবক। সেখান থেকেই ধরা পড়েন মোবারক নামে এক চোর। তিনি চুরির টাকায় বান্ধবীকে কিনে দিয়েছেন ফোন। সংঘবদ্ধ চোর চক্রের এসব সদস্যসহ ৩৬ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ঈদের আগে ও পরে ঢাকা মহানগরীতে কয়েকটি সিঁদেল চুরির ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্তে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর অজ্ঞাতপরিচয় চোরদের গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ।

ডিবি সূত্র জানায়, গত ৮ এপ্রিল ওয়ারী থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল যেকোনো সময় ওয়ারীর অভয়দাস লেনের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফাঁকা বাসার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে সাড়ে ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০০ ডলার চুরি হয়। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গুপ্তচরের মাধ্যমে চোরদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর বাগেরহাটের মংলা থানার পশুর নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির মূল পরিকল্পনাকারী মোবারক ওরফে মগাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে চোরাইকৃত স্বর্ণালংকার বিক্রির ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

ডিবির ধারাবাহিক অভিযানে নেত্রকোনা থেকে রাকিব মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা ঘটনার দিন হেক্সো ব্লেড দিয়ে বাসার বেডরুমের পিছনের গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে স্বর্ণলংকার ও ডলার চুরি করে।

চুরি করা স্বর্ণগুলো মোবারক ও রাকিব বিভিন্ন সময়ে এনে টিকাটুলির হুমায়ুন সাহেবের গলির স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদের কাছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে। ওই স্বর্ণালংকার ও ডলার বিক্রির টাকা দিয়ে মোবারক ও রাকিব আরও আট বন্ধু মিলে কক্সবাজার ঘুরতে যায় এবং নেশা করে। মোবারক তার বান্ধবীকে মোবাইল ফোন গিফট করে। মো. শেখ ফরিদ স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে চোরাই স্বর্ণ কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্ত শেখ ফরিদকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে চুরি স্বর্ণালংকারের গলিত ২০ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের পাত উদ্ধার করা হয়।

ওই মামলাটি তদন্তকালে আরও দুজন পেশাদার চোর মো. ডালিম ও মো. সাদ্দাম হোসেন বনিকে চুরিতে ব্যবহৃত হেক্সোব্লেড ও ড্রিল মেশিনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলাসহ মাদক মামলা রয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, গত ১৯ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানায় ৪১ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৩৭ লাখ টাকার মালামাল চুরর মামলা হয। পুলিশ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির ঘটনায় জড়িত মো. গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুন্ঠিত ৪১ ভরি স্বর্ণালংকার, ৭ লাখ টাকা ও চুরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

সিঁদেল চোরদের গ্রেপ্তারে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ডিবি-মতিঝিল বিভাগ ১৪ জন, লালবাগ বিভাগ ৩ জন, গুলশান বিভাগ ৩ জন ও মিরপুর বিভাগ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

পাঠকের মতামত

ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

অবশেষে কক্সবাজারে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অত্যাধুনিক ফায়ার স্টেশন। অর্থনৈতিক এবং ...